Carrying the fear of the bomb! Only the rules of the match will be released! (গাড়ি চড়লেই বমির ভয়। শুধু নিয়ম মানলেই মিলবে মুক্তি।)

গাড়ি চড়লেই বমির ভয়। শুধু নিয়ম মানলেই মিলবে মুক্তি।
Carrying the fear of the bomb! Only the rules of the match will be released!


আমাদের সকলের শখ বেড়াতে যাওয়া,গ্রামে ঘুড়তে যাওয়া।সবকিছু ভাল মাগার চার চাকার কথা শুনলেই মনে হয় বমি বোধয় এখনি এক পশলা হয়ে যাবে।বমি করা কতটা কষ্টের তা শুধু যে করে সে শুধু বুঝে।
যেকোনো যান বাহনে চড়ার পর অনেকেরই এমন অবস্থা হয়। এ সমস্যার নাম মোশান সিকনেস। গাড়ি যখন চলা শুরু করে, আর আপনার দৃষ্টি গাড়ির ভেতরে, তখন আপনার অন্তঃকর্ণ বলে, আপনিও চলছেন গাড়ির গতিতে। কারণ গাড়ি চলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্তঃকর্ণেও তরল পদার্থের নড়াচড়া হয়। সে জন্য অন্তঃকর্ণ চলার সিগন্যাল পাঠায় আপনার মস্তিষ্কে। কিন্তু আপনার চোখ বলে না। আপনি স্থির আছেন; চলছে না কিছুই। এমন অবস্থায় আপনার ব্রেন বলে, বেচারা চোখ অথবা অন্তঃকর্ণ দুটোর যে কোনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে। ভাবে, কোনো বিষাক্ত জিনিস খাওয়ার কারণই এমন নেশার অবস্থা হয়েছে। সুতরাং বিষাক্ত জিনিস বের করিয়ে দিতে দেয় বমি করিয়ে। বমি হয়।

মোশান সিকনেস পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে চলার পথেকিছু টিপস উপকারে আসবে।

একটাই ভয়, প্রতিবারের মতো যদি বমি করে ভাসিয়ে দেন! মাথাটা ঘোরে! এক গাড়ি লোকের সামনে যা তা অবস্থা হয় মান –সন্মান মাটিতে মিশে যাবারমত অবস্থা হয়। বমির ওষুধ খেয়েও মাঝেমধ্যে মেরে দেন আপনি। দূর! এসব ভয় ছাড়ুন তো। অনেক টোটকা আছে, যা সামলে দেবে আপনাকে। পড়ে ফেলুন প্রতিবেদনটি।

১। গাড়ির ভেতরে দৃষ্টি নিবদ্ধ না রেখে যতদূর সামনে দৃষ্টি যায়, তাকিয়ে থাকুন। আপনার অন্তঃকর্ণ ও চোখ তখন একই সিগন্যাল পাঠাবে মস্তিষ্কে ‘গাড়ি চলছে, আপনিও চলছেন।’
২। জানালার কাছে সিট নিন। জানালা খুলে দিন। ঠাণ্ডা বাতাস পরশ বোলাবে শরীরে। ভালো লাগবে।
৩। হালকাভাবে দুই চোখ বন্ধ করে রাখুন। অথবা একটু তন্দ্রাচ্ছন্নভাব নিয়ে আসুন।
৪। গাড়ি চলছে। চলন্ত গাড়িতে বই, পত্রিকা পড়া থেকে বিরত থাকুন। বই, পত্রিকা পড়লে দৃষ্টি স্থির থাকবে গাড়ির ভেতরে। তাই বমির উদ্রেগ হতে পারে।
৫।গাড়িতে উঠলেই বমি হবে, এরকম চিন্তা মনে আনা যাবে না। অন্য চিন্তা করতে হবে। এ সময় গাড়ির বাহনের বাইরে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে।
৬। বাড়ির লোকজন বা বন্ধুরা যতই বলুক পেট খালি রেখে গাড়িতে উঠতে মোটে শুনবেন না। খালি পেটে ফল উলটো হয়। হালকা সেদ্ধ কিছু খাবার খান। তবে পেট পুরে আবার খেয়ে ফেলবেন না যেন। জল কম খাবেন শুধু গলাটা ভিজিয়ে রাখবেন মাত্র।
৭। বেড়াতে যাওয়ার আগের দিন ভাল করে রাতের ঘুমটা নিশ্চিত করুন।
৮। কোনও কারণে আগের দিন থেকে মাথাটা হালকা ধরে রয়েছে? তা যেন বাড়তে দেবেন না। প্রয়োজনে হালকা ওষুধ নিয়ে নিন।
৯। রাস্তা দীর্ঘ হলে মাঝপথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে এতটু হাত-পা নেড়েচেড়ে নিন।
১০। বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে নিন গাড়িতে বসে। অস্বস্তি হলেই এটা করুন। বিশেষ করে নাক দিয়ে গ্রহন করুন এবং মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়ুন মাঝে মাঝে কাজ টি করুন।
১১। মুখে চুইংগাম বা ক্যান্ডি রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে মিন্ট ফ্লেভারটাই বেস্ট। লবঙ্গ রাখুন মুখে, বেশ উপকারি। বয়স্কদের জন্য এক টুকড়া সুপারি রাখতে পারেন।
১২।এরকম পরিস্থিতিতে আদাও কিন্তু বেশ উপকারি। একটু বিটনুন মাখিয়ে এক কুচি আদা মুখে রাখুন। উপকার পাবেন।
১৩। সঙ্গে রাখতে পারেন পাতিলেবু আর বিট লবন। এক টুকরো লেবুর মধ্যে বিটনুনটা মাখিয়ে রাখতে পারেন। মাথা ঘুরলে বা বমি বমি ভাব হলে একটু জিভে ঠেকিয়ে নেবেন। দেখবেন অনেকটা রিলিফ লাগবে। বিট লবনের বদলে সৈন্ধব লবনও চলতে পারে।

খুব বেশি হলে বমির জন্য ঔষধ গাড়ীতে চড়বার ১ ঘন্টা আগে খেয়ে নিন।ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমটা বেশ ফলদেয়।




Comments

Popular posts from this blog

দাদ-হাজা-চুলকানির চোটে জেরবার? এগুলো সারিয়ে তুলুন এই ৮ টি ঘরোয়া পদ্ধতি Dada-Haza-itchana small to save? Correct these 8 domestic methods.

Imgamma - Download V2 - PIN (CH)

চিকুনগুনিয়া তো সেরেছে কিন্তু ব্যথা সারেনি।কি করবেন? Chikunagunya fever is good but pain is not good. What will you do?