কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন অ্যাসিডিটি? How to control acidity?
কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন অ্যাসিডিটি?
How to control acidity?
হঠাৎ হঠাৎ গলা বা বুক জ্বলতে থাকে। কখনো টক পানিতে মুখ বা গলা ভরে আসে। জিভ তিতা লাগে। কমবেশি সবাই ভোগেন এই সমস্যায়। পাকস্থলী থেকে সৃষ্ট অ্যাসিড বা অম্ল ওপরের দিকে উঠে এলে এমন হয়। একে বলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসঅর্ডার।
কিছু অভ্যাস বদলালে এ সমস্যার সমাধান করা যায় সহজেই। একনজরে দেখা যাক সেগুলো:
একেবারে ভরপেট খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। যাঁদের অ্যাসিডিটি হয়, তাঁরা সারা দিনে ভাগ করে অল্প অল্প করে খেতে পারেন। পেট খানিকটা খালি রেখেই খাবার শেষ করতে হবে। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করা যাবে না। ধীরেসুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে।
খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক না। খাবার পরপরই চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে অ্যাসিড ওপর দিকে ঠেলে উঠতে পারে। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলা ভালো। খাওয়ার পর বসে বই পড়া যায়। টিভি দেখা যায়। অথবা খানিক হাঁটাহাঁটিও করা যেতে পারে।
কিছু খাবার সমস্যা বাড়ায়। যেমন: তৈলাক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, মসলাদার খাবার, বেশি পেঁয়াজ, রসুন, পুদিনা, চা-কফি, চকলেট ইত্যাদি। বুক জ্বলার সমস্যা থাকলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
অ্যাসিডিটি কমাতে অনেকে কার্বনেটেড-জাতীয় পানীয় পান করেন। এ ধরনের পানীয়, যেমন: সেভেন আপ বা পেপসি পান করলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। তবে এগুলো থেকে আরও অ্যাসিড হতে পারে। তাই পানিই বেশি পান করতে হবে।
যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের বুক বা গলা জ্বলার সমস্যা বেশি হয়। ওজন কমাতে পারলে সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ধূমপান অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান না করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মেলে।
খাওয়ার পর ভারী কাজ বা পরিশ্রম না করাই ভালো। হালকা হাঁটাহাঁটি চলবে। কিন্তু ভারী ব্যায়াম নয়।
রাতে ঘুমের মধ্যে অনেকের গলা জ্বলতে থাকে। মনে হয় অ্যাসিড ওপরে উঠে আসছে। মাথা একটু উঁচু করে শুলে কিছুটা স্বস্তি মেলে। পা থেকে মাথার দিকটা অন্তত ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি উঁচুতে রাখা যেতে পারে। দুটো বালিশ ব্যবহার করা ভালো।
নানা রকমের ওষুধের কারণেও অ্যাসিডিটি হতে পারে। ব্যথানাশক এমিট্রিপটাইলিন, ইস্ট্রোজেন বা বিসফোসফোনেট-জাতীয় ওষুধে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়া ভালো।
Comments