ফুসফুসের ক্যানসার কেন? Why is lung cancer?
ফুসফুসের ক্যানসার কেন?
Why is lung cancer?
মৃত্যুর আরেক নাম ক্যানসার কারন ক্যানসার হেলে মৃত্যু নির্ধারিত।
সাধারনত ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যানসার হয়। মূলত পুরুষেরা এই রোগের শিকার হন বেশি—এমন ধারণার প্রচলন আছে। তবে নারী ও অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে।
পরিবেশ থেকে নানা মন্দ উপাদান শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসের ভেতর ঢুকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে। যাঁরা অ্যাসবেসটস ও নানা ধরনের রাসায়নিক কারখানায় ও প্রচুর ধুলাবালিতে কাজ করেন, তাঁদেরও এই অসুখ বেশি হয়। বংশগত প্রভাবও আছে।
বিশ্বজুড়ে নারীদের মধ্যে ধূমপান ও তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। শিল্পকারখানা ও যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া, বিভিন্ন রাসায়নিক (যেমন: ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, অ্যাসবেসটস) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কারও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। নারী ও অধূমপায়ীদের ফুসফুসে ভিন্ন ধরনের ক্যানসার (যেমন: স্মল সেল কারসিনোমা) বেশি হতে দেখা যায়। এ ছাড়া মানবদেহের অন্য কোনো অংশে ক্যানসার হলে সেটা সহজেই ফুসফুসে ছড়াতে পারে। যেমন: নারীদের স্তন ক্যানসার। ফুসফুসের প্রদাহ, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া হওয়ার পর আক্রান্ত স্থানে পরবর্তী সময়ে ক্যানসার দেখা দিতে পারে।
ফুসফুসে ক্যানসারেন লক্ষণঃ দীর্ঘস্থায়ী কাশি, কফের সঙ্গে রক্ত আসা, অরুচি, ওজন হ্রাস, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ। নারী বা পুরুষ যে কারও এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।
ধূমপান একেবারেই বর্জনীয়। পরোক্ষ ধূমপান (অন্য কারও ধূমপানের ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে ভেতরে গেলে) নারী ও শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। তাই পরিবারের যে কেউ ধূমপান করলেই সমস্যা হতে পারে। নারীরা অনেক সময় ধূমপান করেন না। কিন্তু অন্য উপায়ে তামাক সেবন করেন (যেমন: জর্দা, গুল)। এগুলোও খারাপ। কলকারখানায় নারীদের অংশগ্রহণ এখন অনেক। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী নাক-মুখ ঢেকে রাখার পোশাক বা মাস্ক পরে কাজ করতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
জীবন কে সাজিয়ে রাখতে একটু নিয়ম কানণ মেনে চলতে হয়।আপনার জীবন আপনার একার নয় কারন আপনার উপর পরিবার আশা করে আছে।স্বপ্ন দেখছে আর তাই চাইলেই আপনি তা ভেঙ্গে দিতে পারেন না।
Comments