The causes, signs and remedies of severe syphilis.(ভয়াবহ সিফিলিস রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার।)

ভয়াবহ সিফিলিস রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার।
The causes, signs and remedies of severe syphilis.


গর্ভবতী মায়েরা এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার তাদের ক্ষেত্রে গর্ভজাত শিশু অ্যাবনরমাল হতে পারে বা শিশু জন্মের পরই মারা যেতে পারে৷
যৌনরোগ সমূহের মধ্যে অন্যতম মারাত্মক রোগটি হল সিফিলিস। এটি মূলত একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ৷ এই রোগ সাধারনত সহবাসের মাধ্যমেই ছড়ায়৷
এই ব্যাকটেরিয়ায়র নাম ট্রিপোনেমা প্যাল্লিডাম৷ যে গর্ভবতী মায়েরা এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার তাদের ক্ষেত্রে গর্ভজাত শিশু অ্যাবনরমাল হতে পারে বা শিশু জন্মের পরই মারা যেতে পারে৷

ক) সিফিলিস রোগ কীভাবে ছড়ায়?

অনিরাপদ যৌনমিলন বা সংক্রমিত ব্যাক্তির সঙ্গে সহবাসের ফলে এই রোগ ছড়ায়৷ ভ্যাজাইনাল, অ্যানাল বা ওরাল সেক্সের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে৷শুধু মাত্র সহবাসই য়ে এই রোগের জন্য দায়ী তা কিন্তু নয়, রক্তদানের সময় একই সূঁচ ব্যবহার করলেই এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে৷ কিন্তু একই শৌচালয় ব্যবহার করলে বা জামা বদল করলে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায় না৷ করাণ সিফিলিস রোগের ব্যাকটেরিয়া মানব দেহের বাইরে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না৷

খ) সিফিলিস রোগের লক্ষণঃ
এই রোগের তিনটি আলাদা পর্যায় রয়েছে৷ রোগের পর্যায় অনুযায়ী উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়৷ এই রোগের প্রথম ধাপ কে প্রাইমারি সিফিলিস বলা হয়৷ এটিতে যৌনাঙ্গ বা মুখের আশে পাশে যন্ত্রণাহীন কালশিটে দাগ পড়তে দেখা যায়৷ এই দাগগুলি ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আবার মিলিয়ে যায়৷

দ্বিতীয় ধাপটি হল সেকেন্ডারি সিফিলিস৷ এই পর্যায়ের লক্ষণ আবার আলাদা হয়, যেমন – ত্বকে ফুসকুড়ি, গলা ব্যথা৷ এগুলি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেড়ে যায়৷ এরপরে এটি সুপ্ত অবস্থায় চলে যায় এবং এটি প্রায় কয়েকবছর ধরে থাকে৷

তৃতীয় পর্যায়ে এটিকে টেরটিয়ারি সিফিলিস বলা হয়ে থাকে৷ এটি হল সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়৷প্রতি তিন জন সিফিলিস আক্রান্ত রোগী যারা এর চিকিৎসা করেন না তাদের ক্ষেত্রে এই টেরটিয়ারি সিফিলিস দেখা যায়৷ এটি মস্তিষ্ক, চোখ শরীরকে গুরুতর ভাবে ক্ষতি করতে পারে৷

গ) সিফিলিস এর প্রতিকারঃ
এই রোগের নির্ণয় করতে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন৷ উপসর্গের সূচনা হলে যৌন স্বাস্থ্য ক্লিনিক বা ডাক্তারের কাছে যান৷ প্রাথমিক ভাবে সিফিলিস চিকিৎসার মাধ্যমে সাড়িয়ে তোলা যায়৷ তবে সিফিলিস যদি কোন ভাবে মারাত্মক আকার ধারণ করে তবে এ থেকে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে৷

প্রাথমিক পর্যায়ে যদি সিফিলিস ধরা যায় তবে অ্যান্টিবায়োটিক ও পেনিসিলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে এটিকে সুস্থ করা যায়৷ তবে যদি সিফিলিস রোগের চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি ভয়াবহ আকার নিতে পারে৷

এছাড়াও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে এইআইভি সংক্রমণ হতে পারে৷ তাই এই রোগ এড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল অরক্ষিত যৌনমিলন এড়িয়ে চলা এবং সুরক্ষিত যৌন পদ্ধতি গ্রহণ করা৷

Comments

Popular posts from this blog

চিকুনগুনিয়া তো সেরেছে কিন্তু ব্যথা সারেনি।কি করবেন? Chikunagunya fever is good but pain is not good. What will you do?

Beware of "Chikungunya" (”চিকন গুনিয়ার” থেকে সাবধান হউন।)

দাদ-হাজা-চুলকানির চোটে জেরবার? এগুলো সারিয়ে তুলুন এই ৮ টি ঘরোয়া পদ্ধতি Dada-Haza-itchana small to save? Correct these 8 domestic methods.