The heart attack tells your body.(হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব জানান দেয় আপনার শরীর)
হার্ট অ্যাটাকের পূর্বেই জানান দেয় আপনার শরীর
The heart attack tells your body
হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেক কম বয়সীদেরও হার্টের অসুখে ভুগতে দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে দূষণের মাত্রা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। একইসঙ্গে হার্টের সমস্যা। আর এ নিয়ে চলছে নানারকম গবেষণা কর্ম। এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকেই শরীরকে ক্রমাগত জানান দেয় শরীর।
দেহের ভিতরের করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷একটু চেষ্টা করলে আমরা তা বুঝতে পারি। যেমন-
১) যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দুর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত।
২) ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷
৩) যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷
৪) হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তাঁরা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷
৫) যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷
সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে শুরুতেই চিকিৎসা করলে অনেক সময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়।
জীবন একটাই রিপ্লেস করা সম্ভব নয়।
Comments