চুলহীন মাথায় নতুন চুল তাও কি সম্ভব কিভাবে? New hair on the hairless hair is possible? How?
চুলহীন মাথায় নতুন চুল তাও কি সম্ভব কিভাবে?
New hair on the hairless hair is possible? How?
প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টা চুল পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। রক্তশূন্যতা, সন্তান প্রসবের পর, দীর্ঘমেয়াদি জ্বর বা অসুস্থতা বা মানসিক চাপ ও হরমোনজনিত এই চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে, যা পরে ফিরে পাওয়া সম্ভব। হঠাৎ মাথার কোনো অংশে চুল পড়ে যাওয়াকে অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা বলা হয়। এরও চিকিৎসা আছে। অনেকের বংশগত কারণে বেশি চুল পড়ে, আবার ভুল শ্যাম্পু, স্প্রে বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহারের কারণেও চুল পড়ে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা বন্ধুবান্ধব বা এর-ওর পরামর্শে চুল পড়া কমানোর জন্য বা নতুন চুল গজানোর জন্য নানা রকমের উপাদান ব্যবহার করি। এতে দীর্ঘমেয়াদি ফল লাভ খুব একটা হয় না। ফলে হতাশা পেয়ে বসে, আবার অনেক অর্থও অপচয় হয়।
* চুল পড়ার পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ আছে কি না সেটা খুঁজে বের করা উচিত ও কারণটির চিকিৎসা জরুরি।
* প্রথম দিকে কিছু স্প্রে বা ওষুধ, ভিটামিন ইত্যাদি দিয়ে চুল পড়া কমানোর চিকিৎসা করা হয়।
* পরবর্তী আধুনিক চিকিৎসা হলো পিআরপি। এতে নিজের রক্তের উপাদান প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা ইনজেকশনের মাধ্যমে মাথার ত্বকে দেওয়া হয়। প্রতি মাসে একবার করে ৬ থেকে ৮ মাস চিকিৎসা নিলে চুল পড়া বন্ধ হয় ও ভালো ফল পাওয়া যায়। পিআরপির সঙ্গে মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতিও কারও জন্য ব্যবহার করা হয়।
* যাদের মাথায় টাক, তাদের জন্য হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তেমন পরিচর্যারও দরকার নেই। তিন মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ চুল দেখা যায়।
চুলহীন মাথায় নতুন চুল গজানোর এসব চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
Comments