জেনে নিন খুব দ্রুত ঘামাচি কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি । Know that there are some domestic methods of reducing emulsion very quickly.
জেনে নিন খুব দ্রুত ঘামাচি কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি ।
Know that there are some domestic methods of reducing emulsion very quickly.
ঘামাচি কী?
দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ঘামাচি তৈরী হয়।
সাধারণত পিঠ, বাহু, পেট এসব স্থানে ঘামাচি দেখা দিলেও অনেকের মুখে, কপালেও অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি দেখা দেয়। এর সাথে যুক্ত হয় চুলকানি ও নানা রকম সংক্রমণ।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও গরমের সময় ফ্যানের নিচে কিংবা কিছুটা সতর্ক থাকলে ঘামাচি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। এ ছাড়া কয়েকটি উপায়ে ঘামাচি থেকে নিরাময়ের কয়েকটি ঘরোয়া উপায় জানানো হলো এ লেখায়।
১. নিম পাতা
নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিন। খানিকটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সম্পূর্ণ না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নিমপাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচির জীবাণু মেরে ফেলে দ্রুত আপনাকে ঘামাচি থেকে মুক্তি দেবে। কিছুক্ষণ পর তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবার জন্যে দিনে ৪-৫ বার এটি করতে পারেন।
২. বরফ
ঘামাচি আক্রান্ত জায়গাটিতে খুব ভালোভাবে বরফ ঘষে নিন। দিনে দু তিন বার করুন। দেখবেন, খুব জলদিই সেরে যাবে ঘামাচি।
৩. মুলতানি মাটি
৪-৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২-৩ টেবিল চামচ গোলাপজল ও পরিমান মত পানি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরী করুন। ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় পেস্টটি লাগান ও ২-৩ ঘন্টা রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
৪. ঠাণ্ডা পানি
ঠাণ্ডা পানিতে একটি পরিস্কার সুতি কাপড় ভেজান। তারপর সেটি তুলে আক্রান্ত জায়গায় লাগান যতক্ষণ না জায়গাটি পানি শুষে নিচ্ছে। এভাবে দিনে ২-৩ বার করুন। এতে ঘামচি দ্রুত সেরে উঠবে।
৫. বেকিং সোডা
১ কাপ ঠাণ্ডা পানিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন ও ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।
৬. লেবুর রস
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন একটু বেশি করে লেবু মিশিয়ে। এটি ঘামাচি নিরাময়ে কাজ করবে স্রেফ জাদুর মতোই!
৭. ঘৃতকুমারি
ঘৃতকুমারি বা অ্যালোভেরার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন না শুকোনো পর্যন্ত। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে নিন।
Comments